রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
‘জলের দেবি’ সূর্যভানু

‘জলের দেবি’ সূর্যভানু

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ ‘মোরা স্যার কাম না করলে খামু কী? কেউ তো মোগো লইগা খাওন বাড়ি লইয়া আয় না। বেয়ান (সকাল) হইতে রাইত পর্যন্ত হগোল দোহানে পানি দিয়া যে টাহা পাই হেইয়া দিয়া চাউল কিনি আর হেইতেই মোর সংসার চলে’– কথাগুলো সূর্যভানু বেগমের। থাকেন বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। আগে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন সূর্যভানু। এখন পানি টেনে সংসার চালান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের মুদি মনোরহী, ফলের দোকান, চা-পান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ২ শ বিভিন্ন দোকানে কলসিভর্তি পানি টানেন। একটা ভ্যানে করে টিউবওয়েল থেকে ৮-১০টি কলসি নিয়ে দোকানদারের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে হয়। কোনো দোকানে টিউবওয়েলের পানি আবার কোথাও খালের পানি দেন। কাজের জন্য সময়মতো খেতেও পারেন না। কখনো সকালের খাবার দুপুরে, আবার দুপুরের খাবার রাতে খেতে হয়। বাসস্ট্যান্ডের দোকানগুলোয় সূর্যভানুর পানিই একমাত্র ভরসা। ভাই ভাই সেলুনের উজ্জল শীল জানায়, বাসস্ট্যান্ডের সকল দোকানে একমাত্র পানি দেয় সূর্যভানু। এ জন্য শখ করে তাকে পানিমন্ত্রী বলে ডাকি। হোটেল মালিক শওকত হোসেন জানায়, সূর্যভানু অসুস্থ থাকলে আমাদের নিজেদের পানি আনতে হয়। এ জন্য একমাত্র ভরসা তিনি। ১১ বছর আগে সূর্যভানুর স্বামী আব্দুস ছোমেদ মারা যান। টানাপড়েনের সংসারে ছেলে মো. শাহীন (২১) মাত্র চতুর্থ শ্রেডু পর্যন্ত আর মেয়ে মুন্নি (১৯) পঞ্চম শ্রেডু পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন। গত ৩ বছর পূর্বে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পানি টেনে কলসপ্রতি পাঁচ টাকা করে আয় করেন তিনি। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তাঁর। তবে সূর্যভানু বললেন, মুই অ্যাহন আর আগের মতো কাম করতে পারি না। সূর্যভানু বয়সের কারণে এবং বিভিন্ন রোগে অসুস্থভাবে কাজ করে সংসার চালান। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন ফকির বলেন, সূর্যভানুকে সাহায্য করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com